বর্তমান বাজারে পেট্রোলের যা দাম বাড়ছে তাই লোকেদের বিকল্প হিসেবে ইলেকট্রিক বাইক কেনার ঝোঁক বেড়েছে। কিছুদিন আগে বাজাজ কোম্পানি বিশ্বের প্রথম CNG বাইক Freedom 125 বাজারে লঞ্চ করে, বাজাজ কোম্পানি দাবি করে এই বাইকে জ্বালানির খরচা অর্ধেক হবে। এই আবহের মধ্যে, বাজারে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে Joy e-bike। জানলে অবাক হবেন যে এই বাইকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার হয় জল। হ্যাঁ, এই অবাক করা কনসেপ্ট পেশ করেছে মেক ইন ইন্ডিয়া কোম্পানি Joy। এই নিবন্ধে, Joy e-bike এর Hydrogen Scooter সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ জানানো হলো।
Joy e-bike: Joy Hydrogen Scooter: কিভাবে চলবে এই স্কুটার
চলতি বছরে ভারতে হওয়া ‘মোবিলিটি শো’তে Joy e-bike তাদের এই Hydeogen scooter প্রকাশ্যে আনে। মূলত এই বাইক চলবে ডিস্ট্রিলড ওয়াটারে। এই স্কুটারে ব্যবহৃত অত্যাধুনিক প্রযুক্তি জলের অনুকে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনে ভেঙ্গে দেবে। তখন এই হাইড্রোজেনকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে চলবে এই স্কুটার।
Joy e-bike-এর পেরেন্ট কোম্পানি ওয়ার্ডভিজার্ড হাইড্রোজেন ফিউল সেল এবং ইলেক্ট্রোলাইজার টেকনোলজি এই বিষয়ে একযোগে কাজ করছে। অত্যাধুনিক এক প্রযুক্তির মাধ্যমে Joy e-bike এর নতুন স্কুটারটি জলে ছুটবে বলে দাবি। হাইড্রোজেন টেকনোলজি ভারতে অটোমোবাইল সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে। পরিবেশকে দুষণ থেকে রক্ষা করবে।
1 লিটারে চলবে 150 কিমি
সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, 1 লিটার ডিস্ট্রিলড ওয়াটারে এই বাইক 150 কিলোমিটার যেতে পারবে। যদিও কোম্পানির পক্ষ থেকে মাইলেজ সম্পর্কে কোন অফিশিয়াল আপডেট আসেনি। তবে বাইকটি এখনো প্রটোটাইপ পর্যায়ে আছে অর্থাৎ কোম্পানি এখনোও এই প্রযুক্তিটি নিয়ে কাজ করছে। বাইকটি এখন বাজারে বিক্রির জন্য উপলব্ধ নয়। সংস্থাটি যখনই এই বাইকের প্রোডাকশন মডেল ডেভেলপ করতে পারবে তখনই এই বাইক বাজারে উপলব্ধ হবে।
Joy Hydrogen Scooter: লাগবে না কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স
জলকে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে ছুটতে পারবে এই হাইড্রোজেন স্কুটারের স্পিড তেমন বেশি হবে না। সংস্থার দাবি এর সর্বোচ্চ গতিবেগ হবে প্রতি ঘন্টায় 25 কিলোমিটার। আর সব থেকে ভালো ব্যাপার সেটা হচ্ছে, এই বাইক চালাতে হলে আপনার লাগবে না কোন ড্রাইভিং লাইসেন্স।
এই হাইড্রোজেন টেকনোলজি ব্যবহার করে ইতিমধ্যেই বড় বড় কোম্পানি গাড়ি তৈরি করার কাজ শুরু করে দিয়েছে। জলে চলতে পারে এই স্কুটারের কথা শুনে আজ থেকেই আমজনতার মধ্যে যে উন্মাদনা সৃষ্টি হয়েছে তাতে মনে করা হচ্ছে যে, এই স্কুটার বাজারে উপলব্ধ হলে এর বিক্রি এত বাড়বে যে কোম্পানি এই বাইক তৈরি করতে হিমশিম খেয়ে যাবে।